1. স্মরণীয় বরণীয়

সৈয়দা সুফিয়া খাতুন (সাহিত্যরত্ন) (১৯২৭-)

সৈয়দা সুফিয়া খাতুন (সাহিত্যরত্ন) ১৯২৭/১৯২৮ সালে মাগুরা জেলা শহরে এক জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস মাগুরার শিবরামপুর গ্রামে। তাঁর পিতার নাম সৈয়দ আব্দুর রউফ। সৈয়দা সুফিয়া খাতুন যশাের গার্লস স্কুলে দশমশ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছিলেন। তিনি ছাত্রীজীবন থেকে লিখতে শুরু করেন। নওবাহার, বেগম, দৈনিক পাকিস্তান, দৈনিক ইত্তেফাক, আল ইসলাহ, শ্বেত কপােত প্রভৃতি পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশ হতাে। যশােরের অবলাকান্ত মজুমদারের সাহিত্যপরিষদ থেকে তিনি সাহিত্যরত্ন উপাধিতে বিভূষিত হন। ১৯৪৮ সালে তার বিবাহ হয়।  তাঁর স্বামীর নাম সৈয়দ শামস ফারুক কাদেরী। তাঁর স্বামীর নিকট থেকে ও তিনি সাহিত্যচর্চার প্রেরণা লাভ করেন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর গল্পগুলাের একটা সংকলন প্রকাশ করার জন্য পাণ্ডুলিপিখানি তিনি কবি গোলাম মােস্তফা সাহেবের কাছে দিয়েছিলেন। তাঁর কিছুদিন পরে কবি গােলাম মােস্তফা ইন্তেকাল করেন।  সৈয়েদা সুফিয়া খাতুন তাঁর বই-এর পাণ্ডুলিপি আর ফেরৎ পাননি। কাজেই তাঁর বই প্রকাশের আশা পূরণ হয়নি। তবে তাঁর অ-প্রকাশিত গ্রন্থখানির নাম ‘স্বপ্নছায়া’। তার রচনাশৈলীর দৃষ্টান্ত স্বরূপ তাঁর ‘স্মৃতি নামক কবিতাটি এখানে উদ্ধৃত করা হলাে-

আমার এ মন

দীপ্ত বলাকার মতাে যদি উড়ে যায়

হাওয়ায় হাওয়ায়, আর পাখির ডানায়।

তবুও কি জানাে তুমি

সে মনের কোণায়

ক্ষণেক বসন্ত স্মৃতি দোলা দিয়ে যায়।

ভীরু জনপদ ছাড়ি পল্লীর ছায়ায়

যে ঘরে বেঁধেছিনু আমি ক্ষণেক মায়ায় সেই ক্ষণিক স্মৃতি আর ক্ষণেকের ভুল

আজ জীবনসায়াহ্ন শেষে করিছে আকুল। আমার এই ভীরু মন-

সেই স্মৃতির মেলায়

সেই হারানাে দিনগুলি

ফিরে পেতে চায়।

মন্তব্য: