বিনোদপুর বি,কে মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯০৪ সালে। প্রতিষ্ঠা করেন যশোরের বিদ্যানন্দকাঠি গ্রামের বসন্ত কুমার বসু। নবগঙ্গার তীরে চাউলিয়ায় একটি নীলকুঠি ছিল। সেখানে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মিটিং হয়েছিল। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠায় আরও যারা ভূমিকা রাখেন তারা হলেন মুক্তার আলী সর্দার, অম্বিকা প্রসাদ সরকার, কেদারনাথ সন্ন্যাসী প্রমুখ। বিদ্যালয়টি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯১১ সালে স্থায়ী স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়। প্রথম দিকে এটি ইংরেজি মাধ্যমে ৩য় শ্রেণি পড়ানো হতো। তাই প্রথমে এর নাম ছিল বিনোদপুর ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯০৮ সালে বসন্ত কুমার মারা যাবার পর তার নামে নামকরণ করা হয়। বরাবরই এখানকার শিক্ষার মান ভালো। এখান থেকে বহু শিক্ষার্থী দেশে বিদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত। এখানে ছাত্র ছিলেন বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল, ডা. উত্তম কুমার সাহা, রাবির ভিসি আনন্দ কুমার সাহা, মেজর জাকির হোসাইন, শংকর কুমার সাহা প্রমুখ। এখানে শিক্ষকতা করতেন বিপ্লবী গণেশ ঘোষের বাবা বিপিন বিহারী ঘোষ, ব্রিটিশ আমলের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ রসিক লাল বিদ্যাবিনোদ, বিংশ শতকের কবি গোলাম হোসেন, সুধীর ভট্টাচার্য, খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ গোলাম রব্বানী প্রমুখ। এই বিদ্যালয়ে কয়েকটি শিক্ষাবৃত্তি চালু আছে। এগুলো হলো ঘুল্লিয়ার এ্যাডভোকেট আবুল হোসেন কর্তৃক হোসেন বৃত্তি, ড. আলী আফজাল কর্তৃক সুধীর ভট্টাচার্য বৃত্তি, আনন্দ গোপাল দে কর্তৃক শশীভূষণ বৃত্তি এবং বিদ্যালয়ের সর্বজনশ্রদ্ধেয় শিক্ষক বিপদ ভঞ্জন চক্রবর্তী কর্তৃক সতীশ চন্দ্র বৃত্তি। এই বিদ্যালয়ে দুটি খেলার মাঠ, একটি দিঘি, একটি মসজিদ, একটি মন্দির, শহীদ আজাদ অডিটোরিয়াম, সাইকেল গ্যারেজ, কম্পিউটার ল্যাব, গ্রন্থাগার রয়েছে। আগে প্রতিবছর ৪ঠা ফেব্রুয়ারী বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়ানুষ্ঠান হতো যা এই এলাকার সেরা অনুষ্ঠান ছিল। অবশ্য এসএসসি পরীক্ষার সময়সূচির কারণে এটি অন্য সুবিধাজনক সময়ে হয়ে থাকে। এছাড়া সরস্বতী পূজা, মিলাদুন্নবী, ৮ আগস্ট প্রতিষ্ঠাতা বসন্ত কুমারের মৃত্যুদিবস সহ সকল জাতীয় দিবস পালন করা হয়। বিতর্ক, আবৃত্তি, সঙ্গীত, নৃত্যসহ ক্রীড়া ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে বিদ্যালয়টির সুনাম রয়েছে।

https://youtu.be/AFZxhzhGBIc

মন্তব্য: