কেচুয়াডুবি গোপাল জিউ মন্দির। এটি একটি প্রাচীন আশ্রম, প্রাচীন মন্দির। এটি তৈরি হয় শ্রীল গোবিন্দ চন্দ্র দেব মোহন্ত নামের এক সাধকের হাত দিয়ে। প্রতিষ্ঠা সাল ৭২৬ বঙ্গাব্দ। তখন এই এলাকা ভয়ংকর জঙ্গল ও হিংস্র জন্তুতে পূর্ণ ছিল।

এখানে গৌর-নিতাই প্রকট হন। সেই বিগ্রহটি এই মন্দিরে রয়েছে। এই এলাকায় গৌর-নিতাইয়ের বহু লীলা কাহিনি রয়েছে। যেগুলো এই ভিডিওতে বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে ১৫ জন সেবাইতের সমাধি রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন গোবিন্দ চন্দ্র দেব মোহন্ত, কৃষ্ণচরণ দাস, শ্যামাচরণ দাস প্রমুখ। প্রত্যেকেই বাকসিদ্ধ ছিলেন এবং অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। এখানেও চৈতন্য মহাপ্রভু এসেছিলেন।

এখানে দোল পূর্ণিমায় ১৬ প্রহরব্যাপী নামযজ্ঞ, জন্মাষ্টমী, রাধাষ্টমী, রাস, ঝুলনসহ সকল বৈষ্ণবী পার্বণ অনুষ্ঠিত হয়। এর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ফটকী নদী। এই নদীতে এখানে প্রতিবছর বারুণীস্নান অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ৬০/৭০ হাজার ভক্ত সমাগম ঘটে।

এই আশ্রমের জমির পরিমান ১৪ একর। এর মধ্যে মন্দির ও আশ্রম রয়েছে ১ একর ৩৫ শতক জায়গার উপর।

এটি একটি বিখ্যাত জায়গায়। হিন্দুদের তীর্থস্থান। প্রাচীন ও ঐতিহাসিক স্থান। মাগুরা জেলার মঘী ইউনিয়নের কেচুয়াডুবি গ্রামের এই জায়গায় আপনিও আসতে পারেন। যশোর-মাগুরা মহাসড়কের আড়পাড়ার পাশেই কেচুয়াডুবি গ্রাম।

https://youtu.be/rdn6xgM3Rww

মন্তব্য: