1. স্মরণীয় বরণীয়

মুন্সী জয়নুদ্দিন আহমদ (১৮৯৪ – ১৯৭৪)

কবি মুন্সী জয়নুদ্দিন আহমদ ১৮৯৪ সালে মাগুরা জেলার সদর উপজেলাধীন পারনান্দুয়ালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তৎকালীন সময়ে এন্ট্রান্স পাস ছিলেন। এন্ট্রান্স পাস করে তিনি মােক্তারী পেশায় জড়িত হন। কর্মজীবনের শুরুতেই তিনি সাহিত্যচর্চায় মনােনিবেশ করেন। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পরই তিনি নতুন দেশের জনগণের কার কী কর্তব্য তাঁর বর্ণনা দিয়ে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেন। নাম দেন প্রেরণা। বাংলা ও ইংরেজিতে প্রকাশ করে পুস্তিকাটি। অনেকের ধারণা- মাগুরা থেকে স্বাধীনতার পর ছাপানো বই এটাই প্রথম। ১৯৫০ সালে তিনি প্রকাশ করেন তুমি ও আমি’ স্রষ্টা ও সৃষ্টি। ইংরেজি ভাষায় বেশ পারদর্শী হওয়ায় সেক্সপিয়ার ছিল তাঁর গবেষণার বিষয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেক্সপিয়ারের ইংরেজি ভাষাযর বিভিন্ন বই, নাটক ছিল তাঁর মাথার পাশে স্তরে স্তরে সজ্জিত। সমাজের মঙ্গল কামনায় সমাজ উন্নয়নের জন্য তিনি বেশ কয়েকটি নাটকও লেখেন। তাঁর অপ্রকাশিত উল্লেখযোগ্য নাটক ‘পল্লী মঙ্গল’। এছাড়াও তিনি রচনা করেন অসংখ্য কবিতা ও প্রবন্ধ। তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও সাহিত্য সাময়িকীতে তাঁর বহু কবিতা, প্রবন্ধ ও নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। তাঁর উল্লেখযোগ্য কবিতার শিরােনাম: হালুয়ারুটি, কাজীর বিচার, ছবর, ইনসাফ, বুদ্ধির বল, হাল-জামানা, প্রেম নিঘুম, প্রেমের দান, মতিলাল ও মহত্ব। এগুলাের কিছু প্রকাশিত এবং কিছু অপ্রকাশিত। পারনান্দুয়ালী গ্রামের নিজ বাসভবনে ‘কবি কুঠিরে’ ১৯৭৪ সালে মুন্সী জয়নুদ্দিন আহমদ ইন্তেকাল করেন।

মন্তব্য: