1. স্মরণীয় বরণীয়

ড. প্রবােধ চন্দ্র বাগচী ডি. লিট (১৮৯৮ – ১৯৫৬)

ড. প্রবােধ চন্দ্র বাগচী ১৮ নভেম্বর, ১৮৯৮ সালে মাগুরা জেলার শ্ৰীপুর উপজেলাধীন শ্রীকোল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১৪ সালে মাগুরা মডেল হাইস্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাস করেন। ১৯১৮ সালে কৃষ্ণনগর কলেজ থেকে সংস্কৃত সাহিত্যে অনার্সসহ বি.এ এবং ১৯২০ সালে প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে এম.এ পাস করেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃত বিভাগের লেকচারার নিযুক্ত হন। ১৯২১ সালে স্যার আশুতােষ বাবু কর্তৃক বিশ্বভারতীয় বিদ্যালয়ে প্রেরিত হন। বিশ্ব ভারতীয় বিদ্যালয়ে প্রেরিত হয়ে তিনি সিলভ্যালেভির

শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। অধ্যাপক সিলভ্যালেভির আগ্রহে তিনি নেপালের রাজদরবারে গ্রন্থগারে রক্ষিত বৌদ্ধ ধর্ম ও সংস্কৃতি বিষয়ক পাণ্ডুলিপি নিয়ে গবেষণা করেন। পরে তিনি ১৯২৩-২৯ সালের শেষদিন পর্যন্ত ভােট ও চিনা ভাষা ও বৌদ্ধ ধর্ম ও শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন এবং প্রাচীন ভারতের ইতিহাস বিষয়ে গবেষণা করেন। তাঁর এই গবেষণার ফল ফরাসি ভাষায় তার রচিত দুটি গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে। এই দুটি গ্রন্থের নাম “চিনদেশ বৌদ্ধশাস্ত্র (Le canon Bouddhiue En Chine); (দুই খণ্ড) এবং দুইখানি সংস্কৃত চিনা অভিধান, (দুই খণ্ড)। এই গ্রন্থ দুটির জন্য তিনি প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট (Docteure S-Letter’s) ডিগ্রি লাভ করেন।

তিনি ১৯৩০-৪৪ সাল পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা ও গবেষণা করেন। তিনি যে গ্রন্থাবলী ও প্রবন্ধাবলী রচনা করেন, তাঁর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দোহাকোষের ব্যাখ্যা ও অনুবাদ : চর্যাপদের মূল পাঠ ও ব্যাখ্যা; Studies in The Tontras ইত্যাদি। ১৯৪৪ সাল থেকে Sino- Indian Studies নামে চিন-ভারত সংস্কৃতি বিষয়ক একটি ত্রৈমাসিক গবেষণা পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশ করতে থাকেন। ১৯৪৫ সালে তিনি বিশ্বভারতীয় চিনাভবনে গবেষণা বিভাগের অধ্যক্ষ হিসেবে যােগদান করেন। ১৯৪৭ সালে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। পরে তিনি বিশ্বভারতীয় প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যক্ষ এবং পরে গবেষণা বিভাগের অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। ১৯৫৪ সালেতিনি বিশ্বভারতীয় উপাচার্য পদে নিযুক্ত হন। ১৯৫৬ সালের ২৯ জানুয়ারিতে হৃদরােগে আক্রান্ত হয়ে পরলােক গমন করেন

মন্তব্য: