1. সদর

মাগুরা সদর উপজেলার কুটিরশিল্প

মাগুরা সদর উপজেলা কুটিরশিল্পে বেশ সমৃদ্ধ। এখানে কুটিরশিল্পের জন্য যে সমস্ত কাঁচামাল ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে রয়েছে সুতা, বাঁশ, বেত ও মাটি। বাঁশ ও বেতের সামগ্রী যারা তৈরী করেন ঋষি ও নলুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। মাটি দিয়ে যারা তৈরী করেন বিভিন্ন সামগ্রী তাদেরকে আঞ্চলিকভাবে কুমোর বলে অভিহিত করা হয়। কিন্তু তারা মূলত মৃতশিল্পী। আবার অনেকে নারিকেলের খোল এবং ছোবড়াকে কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার করে গড়ে তুলেছেন কুটির শিল্পের কারখানা। 

তাঁতশিল্প মাগুরার অন্যতম পুরনো শিল্প। সুতা দিয়ে এখানকার তাঁতীরা নির্মাণ করেন শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা প্রভৃতি।  নিজনান্দুয়ালী গ্রামের তাঁতী তাসলিমা বেগম (৩৫) এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন তাঁতের সাহায্যে তিনি নির্মান করেন বিভিন্ন ধরণের লুঙ্গি ও গামছা। প্রতি লুঙ্গিতে পান ২৫ টাকা। ১৫০টি লুঙ্গির কাজ একসাথে করেন। তিনি জানান, নিজনান্দুয়ালী গ্রামের দুইটি পরিবার তাঁতের কাপড় বুনে জীবিকা অর্জন করেন। তাঁতের কাজের জন্য যেসব যন্ত্র ব্যবহার করা হয় সেগুলো হলো যাতা, ড্রাম, খোরা, নরাজ, বুয়া ও সানা। তাসলিমা জানান, সুতার দাম প্রচুর কিন্তু সে তুলনায় কাপড়ের দাম কম হওয়ায় তাঁত শিল্পের পরিমান কমে যাচ্ছে। অনেক টেক্সটাইল মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে সুতোর দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। তাছাড়া চোরাই পথে ভারত থেকে শাড়ি ও অন্যান্য কাপড় আসার কারণেও এ অঞ্চলের তাঁত শিল্পের অবনতির একটি কারণ। ক্রম নিম্নমুখি এ ব্যবসায় মন্দার কারণে এ স¤প্রদায়ের মানুষ অন্য পেশায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করছে। এছাড়াও মাগুরার অন্যান্য যেসব স্থানে তাঁতশিল্প রয়েছে সেসব স্থানের মধ্যে গৃহগ্রাম, সিরিজদিয়া।  বেরোইল, রাঘবদাইড়, ভাঙ্গুড়া ও দীঘলকান্দি গ্রাম অন্যতম। এসব অঞ্চলের তাঁতীরা তাদের তৈরীকৃত বস্ত্র মাগুরার স্থানীয় গার্মেন্টসসমূহে সরবরাহের পাশাপাশি অন্যান্য জেলায় বিক্রির মাধ্যমে জীবিকা অর্জন করেন। আবার কিছু তাঁতী তাদের তাঁতে তৈরী বস্ত্র বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন।  

মাগুরার মৃত শিল্প জেলাসহ অন্যান্য জেলায় বেশ সুনাম অর্জন করেছে। মাগুরা সদর উপজেলার পালদের তৈরী মাটির হাড়ি, কলসী, চাড়ি, মালসা, রুটি তৈরীর তাওয়া, পিঠা বানানো ছাঁচ, পায়খানা তৈরীর চাড়ি জেলাব্যাপি অর্জন করেছে বিশেষ সুনাম। মাটির তৈরী এসব উপাদান বিক্রি করে জেলার বিভিন্ন গ্রামের অনেক পরিবার জীবিকা অর্জন করে। মাগুরা সদর উপজেলার আলিধানী, রাঘবদাইড়, কেচুয়াডুবি, সিরিজদিয়া, বেরোইল, দীঘলকান্দি গ্রামসমূহে অনেক পরিবার মাটির তৈরী জিনিষপত্র তৈরী করে বিভিন্ন মেলাসহ জেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তাদের পরিবার পরিজনের ভরনপোষণের ব্যবস্থা করে থাকে। তবে অনেক গ্রামের পাল স¤প্রদায় তাদের নিজস্ব পেশার পরিবর্তন করে অন্যান্য পেশায় ঝুকে পড়ছে। বরই গ্রামের পালদের তৈরী চাড়ির অন্যান্য জেলায়ও বেশ কদর রয়েছে। মাটির তৈরী জিনিষপত্র তৈরীর পাশাপাশি এসব এলাকার মৃতশিল্পীরা মাটির তৈরী জিনিষপত্রে রঙবেরঙের নকশাও করে থাকেন। বরই গ্রামের বিনোদ পাল, সুধীর পাল, সামনু নাথ পাল এর সাথে কথা বলে এরকম তথ্য পাওয়া যায়। তারা বলেন, তাদের তৈরী মাটির জিনিষ নড়াইল, ঝিনেদা, খুলনা, বাগেরহাট ও যশোর জেলায় পাঠানো হয়। মাটির তৈরী ফুলের টব, ফুলদানি, ব্যাংক, কয়েলদানি, মাটির পুতুল, মাটির চুরিসহ মাটির তৈরী বিভিন্ন খেলনা বিদেশেও পাঠানো হচ্ছে। এসব পণ্যের অনেক চাহিদা থাকলেও প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে চাহিদা পূরণ করা অনেকক্ষেত্রে সম্ভব হয়ে ওঠেনা। সুধির পাল জানান, এসব পণ্য তৈরীর জন্য প্রথমে মাটি সংরক্ষণ করতে হয়। তারপর মাসসেলায় কাদা তৈরী করতে হয়। এই কাদা ডাইসের মাধ্যমে বিভিন্ন জিনিষের আকৃতি দেওয়া হয়। তারপর পিতনে দ্বারা মাটি সমান করতে হয়। মাটি চ্যাপটা করতে বলো নামক উপাদান ব্যবহার করা হয়। আকৃতি দেওয়া পণ্যসমূহ রোদে শুকিয়ে পুনশালায় পুড়িয়ে বাজারজাত করণের উপযোগী করে তুলতে হয়। গঙ্গারামপুর গ্রামের বিশ্বনাথ পাল এর পুত্র রতন কুমার পাল (৫৫) জানান, আগে পুরনো সব যন্ত্র দিয়ে তারা মাটির বিভিন্ন জিনিষ তৈরী করতেন। তবে আধুনিক প্রযুক্তির ম্যাশিন চালু হওয়ার পর মৃতশিল্পে অনেক বৈচিত্র এসেছে। উইল ম্যাশিনে মাটি দ্বারা তৈরী খেলনা বিক্রি করে অনেকেই প্রচুর পরিমান লাভবান হচ্ছেন। তবে স্টিল, সিলভার ও প্লাস্টিক এর পণ্য সামগ্রীর ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে মাটির তৈরী অনেক পণ্য বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, মাটির হাড়ি, থালা ও গøাসের ব্যবহার এখন নেই বললেই চলে।    

বেতশিল্প একটি উল্লেখযোগ্য জায়গা জুড়ে আছে মাগুরার কুটিরশিল্পে। বেত ও বাঁশ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদেরকে বলা হয় ঋষি। মাগুরা সদরের হাজরাপুর, আঙ্গারদাহ, চাউলিয়া, মাধবপুর, ভাঙ্গুড়া, গোয়ালবাথান ও জগদল গ্রামে  ঋষি পরিবারের সদস্যরা বেতের ধামা ও কাঁঠা, বাঁশের তৈরী চালন, কুলো, ডালা, মোড়া, পলো ইত্যাদি জিনিষ জেলার বিভিন্ন বাজেরে বিক্রির মাধ্যমে জীবিকা অর্জন করে। এছাড়াও কৃষ্ণপুর গ্রামে ঝুড়ি, ঝাটা, ঘুনি, ধামা, কাঁঠা, কুলা, ধোয়াইড়, বানে তৈরীর কারিগর বাস করে। বরই আর গৃহগ্রামে বাঁশ দিয়ে তৈরী করা মাছ ধরা ঘুনি, ধোয়াইড়, বানে, টুবোসহ অন্যান্য উপাদান।  শত্রæজিৎপুর ইউনিয়নের বনগ্রাম, পয়ারী ও বারোইখালী গ্রামে ঋষিরা বেত ও বাঁশের ডালা, কুলো, চালন, দোলনা তৈরী করে বিভিন্ন গ্রামে, মেলায় ও হাটে বাজারে বিক্রি করে। বনগ্রামে ৮/১০ পরিবার, পয়ারী গ্রামে ৪/৫ পরিবার এবং বারোইখালী গ্রামে ১০/১২ পরিবার বেত ও বাঁশের তৈরী সরঞ্জামের মাধ্যমে তাদের পরিবারের ভরনপোষণ এর ব্যবস্থা করে। 

বাঁশ শিল্পের রকমারী ব্যবহার রয়েছে মাগুরা সদর উপজেলায়। আর এই বাঁশকে ব্যবহার করে তৈরী চাটাই, ডোল, আউড়ি প্রভৃতি তৈরী করে জীবিকা অর্জন করাই নলুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। মাগুরা সদরের বিভিন্ন অঞ্চলে নলুয়া সম্প্রদায়ের বসতি থাকলেও শত্রæজিৎপুর গ্রামে এই সম্প্রদায়ের বসতি বেশি। সিদ্দিক বিশ্বাস, ইয়াসিন মন্ডল, বিলয় মন্ডল, সালাম বিশ্বাস ও জালাল মন্ডল এই অঞ্চলের সুনামধন্য নলুয়া। শত্রæজিৎপুর গ্রামের সিদ্দিক বিশ্বাস (৪১) জানান, তার গ্রামে প্রায় ২০০ পরিবার নলুয়া রয়েছে। এসব পরিবার নলা বাঁশ থেকে তারা ঘরের বেড়া, চাটাই, ডোল, কুলো, মাটি কাটার ঝাকা,  ধানের আউড়ি প্রভৃতি তৈরী করে জেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে জীবিকা অর্জন করে। মাগুরা পৌর এলাকার নিজনান্দুয়ালী গ্রামে কিছু নলুয়া পরিবার রয়েছে। মাগুরা সদরের বারাশিয়া গ্রামে বাঁশের তৈরী ঝুড়ির ব্যাপ্তির কারণে একটি পাড়ার নামকরণ হয়েছে ঝুড়ি পাড়া। এখানে বাঁশ দ্বারা শুধুমাত্র ঝুড়ি তৈরী করা হয়। এখানে বিশটি পরিবার ঝুড়ি তৈরী করে বিভিন্ন বাজারে বাজারজাতকরণের মাধ্যমে তাদের পরিবার পরিজনের ভরনপোষণ চালিয়ে থাকে। ঝুড়ি তৈরীর জন্য তল্লা বাঁশ ও কঞ্চিকে কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার করা হয়।   

নারিকেলের ছোবড়াকে ম্যাশিনের সাহায্যে প্রক্রিয়াজাত করে মাগুরাসহ ঢাকা, কুষ্টিয়া, যশোর এর মতো বিভিন্ন জেলায় রপ্তানী করে জীবিকা অর্জন করে মাগুরার কিছু বেকার যুবক। শত্রজিৎপুর গ্রামের যুবক মোঃ শিমুল মোল্যা (২৫) জানান, একই গ্রামের রশিম, মাজেদুল, জাহিদ, রিপন, সুজন, খায়রুল ও সাইফুল এর যৌথ কারবারিতে তারা গড়ে তুলেছে ছোবড়া প্রক্রিয়াজাত করার কারখানা। তারা এলাকার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নারিকেল ক্রয় করে সাড়াশির মাধ্যমে ছোবড়া আলাদা করে। প্রতি একশ নারিকেল তারা ১০০/১২০০ টাকায় ক্রয় করে নারিকেলগুলোকে শ প্রতি ১৩০০/১৪০০ টাকায় বিক্রি করে খুলনা ও বাগেরহাট মিলে তৈল উৎপাদনের জন্য। আর ছোবড়াগুলো ম্যাশিনের সাহায্যে প্রক্রিয়াজাত করে বান্ডিল তৈরী করে রপ্তানি করে বিভিন্ন জেলায়। প্রতি বান্ডিল ছোবড়া বিক্রি হয় এক হাজার টাকায়। তাদের কারখানায় ২০ জন পুরুষ ও ৮ জন মহিলা কাজ করে সংসারের খরচ বহন করে। শত্রæজিৎপুর ও পয়ারী গ্রামে আরো দুইটি এরকম কারখানা রয়েছে। 

মাগুরা শহরতলীর বরুনাতৈল গ্রামের আব্দুল হান্নান এই নারিকেলের খোলা থেকেই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তৈরি করেছেন নানা ডিজাইনের রঙ বেরঙের বোতাম ও মহিলাদের অলংকার। সেই সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে আতœনির্ভরশীল করেছেন এলাকার নারীদের। ঢাকার গার্মেন্টস সহ বিভিন্ন দোকানে চীন থেকে আমদানি করা কাঠের বোতাম দেখে সর্ব প্রথম তার এই উদ্ভাবনী চিন্তা মাথায় আসে। এ কারণে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি ও কৃষক শেখ হান্নান শেষ ক্রয় করেন ৭ টি মোটর চালিত উপযোগী ড্রিল মেশিন। বসত বাড়ির একটি কক্ষে ৭ জন মহিলা শ্রমিক নিয়ে শুরু হয় তার যাত্রা। প্রথম চালানেই ঢাকার বেশ কিছু গার্মেন্টসে সুনাম অর্জন করে তার তৈরি করা বোতাম। এরপর কঠোর পরিশ্রম তার এই পথচলাকে আরো বিস্তৃত করে। এখন তার বাড়িতে বসেছে ১৪ টি মেশিন। যেখানে প্রতি নিয়ত কাজ করছে ছাত্রী – গৃহবধূূসহ ২৫ থেকে ৩০ জন নারী শ্রমিক। প্রতিমাসে দেড় থেকে লক্ষ দুই লক্ষ বোতাম তৈরি হচ্ছে তার বোতাম কারখানায়। শুধু বোতাম নয় বোতাম তৈরির পর যে অতিরিক্ত অংশ থাকে তা থেকে তৈরি হচ্ছে মহিলাদের ব্যবহার উপযোগী সুদৃশ্য কানের দুল। বাকি অংশ সরবরাহ করা হচ্ছে ঢাকার মশাল কয়েল কারখানায়। গৃহবধূ শিরিনা বেগম জানায়, মাসে ১২০০ খেতে ১৩০০ টাকা অতিরিক্ত আয় সংসারে স্বচ্ছলতার যোগান দিচ্ছে। এছাড়া ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ জোগানো যাচ্ছে। তিনি জানান, প্রতিদিন সংসারের কাজের ফাঁকে গড়ে ৫/৬ ঘন্টা সময় এখানে তিনি কাজ করেন। এ ব্যাপারে শেখ হান্নান জানান, সামান্য মূল্যে সংগৃহিত প্রতি ১ হাজার নারিকেলের খোলা থেকে ছোট বড় সাইজের ৩০ থেকে ৫০ হাজার বোতাম তৈরি হয়। যার উৎপাদন খরচ ৩ হাজার ৫ শত থেকে ৪ হাজার টাকা। এখানে তৈরি বোতামগুলো গার্মেন্টস  ফ্যাক্টরিতে জ্যাকেট, শার্ট, প্যাণ্টসহ বিভিন্ন পোষাক ব্যবহৃত হচ্ছে। যার অধিকাংশই যাচ্ছে বিদেশে। নারিকেলের খোলা থেকে বোতাম তৈরির জন্য প্রথমে ড্রিল মেশিন দিয়ে বোতামের সাইজ অনুযায়ী নির্দিষ্ট বৃত্তাকারে পৃথক করা হয়। পরে অপর ড্রিল মেশিন দিয়ে ছিদ্র করা হয়। সবশেষে দেয়া হয় ফিনিশিং। 

বৈদ্যুতিক পাখার পাশাপাশি গ্রাম ও শহরের মানুষের কাছে একটু কদর কমেনি তাল পাখার। মাগুরা শহরতলিসহ জেলার বিভিন্ন গ্রামে অনেক পরিবার পাখা তৈরী ও বাজারজাত করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে। মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী, বাটিকাডাঙ্গা, সদর উপজেলার জগদল, মাধবপুর গ্রামের অনেক পরিবার পাখা শিল্পের সাথে জড়িয়ে তাদের জীবনের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। তালপাখা তৈরীতে দরকার হয় তালপাতা, বাঁশের শলাকা, কঞ্চি, সুতা-সুই ও রং। প্রথমে শুকনা তালপাতা কয়েক ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে জাত দিতে হয়। জাত বা জাগ দেয়া শেষে তালপাতা পানি থেকে তুলে বাঁশের কঞ্চির সাহায্যে কলম লাগিয়ে রোদে শুকানো হয়। এরপর ধারালো ছুরি দিয়ে গোল করে ছেটে আগে থেকে রং করে রাখা বাঁশের শলাকা দিয়ে সুই-সুতাই বাঁধা হয়। পাখাকে আকর্ষণীয় করতে বিভিন্ন রংয়ের সুতা দিয়ে নকশা করা হয়ে থাকে। পাখা বাঁধাইয়ের কাজ করেন মহিলা শ্রমিকরা। মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামের পাখার মহাজন আব্দুল মান্নান জানান, তালপাখার জন্য ছোট গাছের পাতার চাহিদা বেশী। আগে এ অঞ্চলে পর্যাপ্ত তালপাতা পাওয়া গেলেও এখন আগের মত পাতা মেলেনা। তালগাছ কেটে ফেলার দরুন এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দুর-দুরান্ত থেকে পাতা কিনে আনতে হয়। মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা, নড়াইল, যশোর, ফরিদপুরের বিভিন্ন গ্রাম থেকে পাতা কিনতে হয়। একেকটি পাতা থেকে দুটি করে পাখা তৈরী হয়। অনেকে ঘরে বসেই এই সব পাখা বিক্রি করেন। পাইকাররা বাড়ি থেকে এসব পাখা কিনে নিয়ে যান। মহাজনদের কাছ থেকে ঢাকা, খুলনা, পাবনা, রাজশাহী, কুষ্টিয়া থেকে ক্রেতারা পাখা কিনে নিয়ে যায়। 

মন্তব্য: