1. সদর

মাগুরা সদরের হাটবাজার

মাগুরা পৌর এলাকার বাজারের মধ্যে নতুন বাজার সবচেয়ে বৃহৎবাজার। এখানে রয়েছে ধান, পাট ও রবিশস্যের আড়ৎ। মাগুরার মফস্বল এলাকাগুলো থেকে এসব উপাদান নতুন বাজারে আসার পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়। মাগুরা ঢাকা রোড এর পাশেই রয়েছে মাগুরা কাঁচা বাজার। এখানে প্রতিদিন সকালে জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা সবজিসহ পেয়াজ, রসুন ও মরিচ পাইকারী বিক্রি করা হয়। মাগুরা পুরনো বাজারে প্রতিদিন সকাল ও বিকালে বিক্রি করা হয় সবজি, মাছ ও মাংস। এছাড়াও রয়েছে ভায়না বাজার, জামরুলতলা বাজার, হাটখোলা বাজার, পুলিশ লাইন বাজার, ডেফুলিয়া বাজার ও নিজনান্দুয়ালী বৌ বাজার।  ডেফুলিয়া বাজারে হাট বসে বুধ ও শনিবার। 

হাজীপুর ইউনিয়নের তিনটি বাজার হাজীপুর, বগুড়া ও শ্রীরামপুর। বগুড়া ও শ্রীরামপুরে হাইস্কুল ও প্রাইমারী স্কুল রয়েছে। হাজীপুরে বাজারে রয়েছে হাইস্কুল, প্রাইমারী স্কুল, কলেজ, ইউনিয়ন পরিষদ, হেলথ কমপ্লেক্স ও মাদ্রাসা। প্রতি শুক্র ও সোমবার হাজীপুর বাজারে হাট বসে। শ্রীরামপুর বাজারে শনি ও সোমবার হাট বসে। এই বাজারগুলো ধান, পাট , সবজি ও রবি শস্যের জন্য পরিচিত। লোকজ খেলাগুলোর মধ্যে লাঠিখেলার প্রচলন রয়েছে হাজীপুর বাজারে। হাজীপুর বাজারে একসময় রাজবংশী সম্প্রদায় কীর্ত্তন প্রতিযোগিতার আয়োজন করতো।  

                                                                                       মোঃ গোলাম মোস্তফা, ব্যবসায়ী, ইছাখাদা, মাগুরা।

আঠারোখাদা ইউনিয়নে রয়েছে গাংনালিয়া বাজার ও টেঙ্গাখালী বাজার। টেঙ্গাখালী বাজারে হাট বসে প্রতি শুক্রবার ও মঙ্গলবার এবং গাঙনালিয়া বাজারে হাট বসে শনি ও বুধবার। এই বাজারগুলোতে দূর্গা পূজার সময় গ্রামীন মেলা বসে। এছাড়া, গাংনালিয়া বাজারে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়। প্রতি শীত মৌসুমে টেঙ্গাখালী বাজারে কবি গানের আসরে মেতে ওঠে এলাকার আবাল বৃদ্ধ বনিতা। আঠারোখাদা ইউনিয়নটি কৃষি নির্ভর হওয়ায় এখানকার বাজারগুলোতে ধান, পাট, সবজি ও রবি শস্যের বিপুল সমারোহ ঘটে। তাছাড়া এখানকার বাজারগুলো থেকে সবজি ও কাঁচা মরিচ ঢাকাসহ বড় বড় বিভিন্ন শহরে রপ্তানী করা হয়।  

কছুন্দি ইউনিয়নে রয়েছে চারটি বাজার। ওয়াপদা বাজার, কছুন্দি বাজার, রামনগর বাজার ও কেষ্টপুর বাজার। কছুন্দি বাজারে রয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এছাড়াও এখানে রয়েছে একটি দাখিল মাদ্রাসা। কছুন্দি ইউনিয়নটি কৃষি ও ব্যবসা নির্ভর হওয়ার কারণে এখানকার কৃষি উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে ধান, পাট, সবজী ও রবিশস্য বিপুল পরিমানে বিক্রি হয়। এখানকার সবজিও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়। ওয়াপদা বাজারে প্রতিদিনই হাট বসে। এখানে প্রচুর পরিমানে কলার সমাহার ঘটে। এছাড়াও বিভিন্ন ফলের উপস্থিতিও বাজারটির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। কছুন্দি বাজারে প্রতি বৃহস্পতিবার ও মঙ্গলবার হাট বসে। গড়াই নদীর মাছ বিক্রি হয় এই বাজারে।  রামনগর বাজারে প্রতি শনিবার ও বুধবার হাট বসে। এই বাজারের গরুর হাট বেশ সুনাম ধরে রেখেছে। এছাড়াও এই বাজারে প্রচুর মরিচ ও বেগুন বিক্রি হয়।  কেষ্টপুর বাজারে হাট বসে প্রতি শুক্রবার ও সোমবার। এখানেও প্রচুর পরিমান বেগুন ও মরিচ বিক্রি হয়। রামনগর বাজারস্থ হাই স্কুল মাঠে ইউনিয়ন পরিষদের তত্ত¡াবধানে বাঙালী সংস্কৃতি বিকাশে বিশেষ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই মেলায় বিভিন্ন প্রকার লোকজ গানের আয়োজন করা হয়। তাছাড়া এখানে রথযাত্রা ও দুর্গাপূজার মেলা অনুষ্ঠিত হয়। বাজারগুলোতে বাঁশের তৈরী ঝুড়ি, ঝাটা, ঘুনি, ধামা, কাঁঠা, কুলা, ধোয়াইড়, বানে প্রভৃতি পণ্য বিক্রি করা হয়। 

শতদল বিশ্বাস, কলেজ শিক্ষক, কছুন্দি, মাগুরা

বগিয়া ইউনিয়নে রয়েছে দু’টি বাজার। বরই বাজার ও আলোকদিয়া বাজার। আলোকদিয়া বাজারে রয়েছে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি ডিগ্রি কলেজ, একটি দাখিল মাদ্রাসা, একটি হেলথ কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন পরিষদ। বরই বাজারে রয়েছে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। আলোদিয়া বাজারে হাট বসে প্রতি রবিবার ও বৃহস্পতিবার। বৃহস্পতিবার গরু-ছাগলের হাট বসে। বরই বাজারে হাট বসে শুক্রবার ও সোমবার। বাজার দু’টিতে ধান, পাট, সবজি ও রবি  শস্য বিক্রি হয়। আলোকদিয়া বাজারে এলাকার মালো সম্প্রদায় নবগঙ্গা নদী, আলোকদিয়া ও পুখরিয়া বাওড়, বিভিন্ন খাল ও বিলের মাছ বিক্রি করে। এই বাজারে গৃহগ্রামের তাঁতীদের তৈরী লুঙ্গি, গামছা ও শাড়ি বিক্রি করা হয়। বরই বাজারে পালদের তৈরী হাড়ি, কলসী, চাড়ি, মালসা, মাছ ধোয়া মালসা, রুটি তৈরীর তাওয়া, পিঠা বনানো ছাঁচ, পায়খানা তৈরীর চাড়ি পাওয়া যায়।  এখানকার তৈরী চাড়ি অন্যান্য জেলায়ও বেশ কদর রয়েছে। পাতুরিয়ার কর্মকারদের তেরী লোহার তৈরী দা, বটি, শাবল, কুড়োল, কোদাল, কাঁচি, নিড়ানী, পাশী প্রভৃতি বরই ও আলোকদিযা বাজারে। বারাশিয়ার ঝুড়িপাড়ায়  তৈরী ঝুড়িও এখনকার হাটে ও বাজারে বিক্রি করা হয়।  এছাড়া বরই আর গৃহগ্রামে বাঁশ দিয়ে তৈরী করা মাছ ধরা ঘুনি, ধোয়াইড়, বানে, টুবোসহ অন্যান্য উপাদানও এখানে বিক্রি করা হয়।  লোকজ অনুষ্ঠানের মধ্যে   আলোকদিয়ায়  দুর্গাপূজার মেলা ও কবিগানের আসর বসে। লোকজ ক্রীড়ার মধ্যে আলোকদিয়ায় হাডুডু খেলার আয়োজন করা হয়। 

মোঃ তৌহিদুজ্জামান, কলেজ শিক্ষক, বারাশিয়া, মাগুরা

হাজরাপুর ইউনিয়নে তিনটি বাজার রয়েছে। ইছাখাদা পুরাতন বাজার, ইছাখাদা নতুন বাজার এবং আলমখালী বাজার। ইছাখাদা নতুন বাজারে রয়েছে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং এমটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ইছাখাদা পুরাতন বাজারে রয়েছে হেলথ কমপ্লেক্স এবং ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। ইছাখাদা পুরাতন বাজারে লিচুমেলা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় পর্যায়ের লিচু চাষীরা স্টল দিয়ে তারা তাদের চাষকৃত লিচুর প্রদর্শন ও বিক্রি করেন। এসব চাষীরা বিভিন্ন জাতের লিচু প্রদর্শন করেন এই মেলায়। মহাসড়কের পাশাপাশি অবস্থান এবং অনেক পুরনো বাজার হওয়ার কারণে ইছাখাদা পুরাতন বাজার ও নতুন বাজারের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। ইছাখাদা নতুন বাজারে হাট বসে বৃহস্পতি বার ও সোম বার। প্রতি বৃহস্পতিবার এখানে গরুর হাট বসে। বেশ আগে ইছাখাদা বাজার থেকে খেজুরের গুড় পাঠানো হতো বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়। সাম্প্রতিক অতীতেও এখানে ইছাখাদা বাজার আখের গুড়ের জন্য বেশ খ্যাত ছিল। বর্তমানে ইছাখাদা নতুন বাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের কলা ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানী করা হয়। এখানে আম ও কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফলের বিপুল সমাহার ঘটে। প্রতিবছর হেমন্তের নবান্নের উৎসবে ইছাখাদা বাজারে লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত হয় গ্রাম্য মেলা। আলমখালী বাজারে গরুর হাট বসে রবিবার। আলমখালী বাজার সংলগ্ন নবগঙ্গা ঘাটে গঙ্গাস্নান ও লোকজ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বাজারগুলোতে ধান, সবজি ও রবিশস্য বিক্রি হয়।                                                                                      

  মোঃ গোলাম মোস্তফা, ব্যবসায়ী, ইছাখাদা, মাগুরা।

রাঘবদাইড় ইউনিয়নের বাজারসমূহ হলো পাটকেলবাড়ি বাজার, বাল্য বাজার, বালিয়াডাঙ্গা বাজার, বেঙ্গা বাজার, লক্ষীপুর বাজার, বাগেরহাট বাজার, বেরোইল বাজার, কালি শংকরপুর বাজার, ধনপাড়া বাজার, রাঘবদাইড় বাজার, মথনা বাজার ও মালঞ্চি বাজার। এই ইউনিয়নেই বাজারের সংখ্যা সবছেয়ে বেশি। রাঘবদাইড় বাজারে রয়েছে একটি একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বেরোইল বাজারে রয়েছে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি দাখিল মাদ্রাসা। এসব বাজারে এলাকায় উৎপাদিত ধান, সবজি ও রবিশস্যের সমাহার ঘটে। কোন কোন বাজারে হাট বসে। আবার কোন কোন বাজারে প্রতিদিনই পাওয়া যায় নিত্য সামগ্রি। রাঘবদাইড় ও বেরোইল বাজারে হাট বসে শুক্রবার ও সোমবার। বাল্য বাজার, বাগেরহাট, ও বালিয়াডাঙ্গা বাজারে বুধ ও শনিবার হাট বসে। ধনপাড়া বাজার ও লক্ষীপুর বাজারে হাট বসে বৃহস্পতিবার ও সোমবার। এছাড়া বেঙ্গাবাজার ও মালঞ্চি বাজারে হাট বসে যথাক্রমে বুধবার ও সোমবার।  

                                                                                       মোঃ গোলাম মোস্তফা, ব্যবসায়ী, ইছাখাদা, মাগুরা।

মঘী ইউনিয়নের বাজারসমূহ হলো মঘীবাজার, রাজীবের পাড়া বাজার, মহিষাডাঙ্গা বাজার, সত্যপুর বাজার, ভাবনহাটি বাজার,কাপাসাটি বাজার ও তিতারখা পাড়া বাজার। সত্যপুর বাজারে রয়েছে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ভাবনহাটি বাজারেও একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়। তিতারখাপাড়া বাজারে রয়েছে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। মঘী বাজারে রয়েছে একটি হেলথ কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। মঘী বাজারে হাট বসে শুক্র ও সোমবার। ভাবনহাটি বাজারে হাট বসে বৃহস্পতি ও রবিবার। এখানে প্রচুর পরিমানে পাট বিক্রি হয় এবং নদীপথে বিভিন্ন শহরে এই পাট পাঠানো হয়। মাগুরা জেলার সবচেয়ে পুরাতন বাজারগুলোর মধ্যে ভাবনহাটি বাজার একটি। রাজিবের পাড়া বাজারে হাট বসে শুক্র ও মঙ্গলবার। সত্যপুর ও কাপাসাটি বাজারে হাট বসে শুক্র ও সোমবার। রাজীবের পাড়া বাজার, মঘী বাজার ও সত্যপুর বাজারে প্রধানত ধান, মরিচ, পেয়াজ ও রসুন প্রচুর পরিমানে বিক্রি হয়। ইউনিয়নটিতে খাল ও বিলের প্রাধান্য থাকায় বিভিন্ন প্রকার দেশজ জাতের মাছ পাওয়া যায় বাজারগুলোতে। বিভিন্ন ধরনের ফলও এসব বাজারে সুলভে পাওয়া যায়। মঘী বাজারে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকজ খেলা, মেলা ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

                            তথ্যঃ হারুন অর রশিদ, নওয়াপাড়া, মাগুরা

জগদল ইউনিয়নের বাজারগুলো হলো জগদল বাজার, কাঁটাখালি বাজার ও জাগলা বাজার। জগদল বাজারে রয়েছে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি আলিম মাদ্রাসা, একটি হেলথ কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। জাগলা বাজারে রয়েছে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি দাখিল মাদ্রাসা। জগদল বাজারে শনি ও মঙ্গলবার হাট বসে। এখানে পুরনো সাইকেল ও ভ্যান বিক্রির জন্য বিপুল সমারোহ ঘটে। কাটাখালি বাজারে হাট বসে শনি ও বুধবার। বুধবারে বসে গরুছাগলের হাট। জাগলা বাজারে হাট বসে প্রতি রবি ও বৃহস্পতিবার। ধান, সবজী, আখ ও রবি শষ্য পাওয়া যায় এসব বাজারে।

                    তথ্যঃ খান মশিউল আজম, কলেজ শিক্ষক, জগদল, মাগুরা। 

চাউলিয়া ইউনিয়নের বাজার সমূহ নিশ্চিন্তপুর, গোবিন্দপুর, ধলহরা, বুজরুক শ্রীকুন্ডি (ঘোপডাঙ্গা বাজার) ও মালিকগ্রাম। সবজি চাষে ইউনিয়নটি বিখ্যাত হওয়ায়  এখানকার বজারগুলোতে সবজির প্রাচুর্যই বেশি। এছাড়া ধান, পাট ও আখের সমাহারও ঘটে বাজারগুলোতে। ধলহরা বাজারে হাট বসে শনিবার ও মঙ্গলবার। এখানে প্রচুর পরিমান পাটের সমাহার ঘটে। ঘোপডাঙ্গা বাজারে হাট বসে রবিবার ও বৃহস্পতিবার। মালিকগ্রাম বাজারে হাট বসে প্রতি শুক্র ও মঙ্গলবার। এছাড়া গোবিন্দপুর বাজারে শনি ও মঙ্গলবার হাট বসে। 

মোঃ জিল্লুর রহমান, কলেজ শিক্ষক, চাঁদপুর, মাগুরা

শত্রæজিৎপুর ইউনিয়নে রয়েছে শত্রæজিৎপুর বাজার, ও সিংহডাঙ্গা বাজার।  মাগুরা সদর উপজেলার অন্যতম বৃহৎ বাজার হলো শত্রæজিৎপুর বাজার। এখানে রয়েছে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি দাখিল মাদ্রাসা ও ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। শত্রæজিৎপুর বাজারে হাট বসে প্রতি সোমবার ও শুক্রবার। সিংহডাঙ্গা বাজারে হাট বসে বৃহস্পতিবার ও রবিবার এবং দুর্গাপুর বাজারে হাট বসে বুধবার এবং রবিবার। ধান, পাট, আখ ও সবজির পাশাপাশি এসব বাজারে প্রচুর পরিমান পান বিক্রি করা হয়। এছাড়াও শত্রæজিৎপুর বাজারে প্রচুর পরিমান আম এবং অন্যান্য ফল বিক্রি হয়। শত্রæজিৎপুর বাজারে গরু ও ম্যাশিন চালিত তেলের ঘানি রয়েছে। তাছাড়া, এখানে নলুয়া সম্প্রদায়ের তৈরী চাটাই, ডোল ও আউড়ি প্রচুর পরিমান পাওয়া যায়। কর্মকারদের তৈরী লোহার তৈরী ব্যবহার সামগ্রী ও ঋষি সম্প্রদায়ের তৈরী ডালা, চালন, কুলো, ঝাকা, ধামা, কাঠা প্রভৃতি এবং ছুতোরদের তৈরী কাঠের ব্যবহার সামগ্রী প্রচুর পরিমানে বিক্রি হয় এখানে। 

মোঃ রুহুল আমীন, কলেজ শিক্ষক, বনগ্রাম, মাগুরা

বেরইল পলিতা বাজার ইউনিয়নের খ্যাতিসম্পন্ন বাজার। এখানে রয়েছে একটি সরকারী বালক প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, একটি ডিগ্রি কলেজ, একটি আলিম মাদ্রাসা, একটি ফাজিল মাদ্রাসা ও ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। শনিবার ও মঙ্গলবার বেরোইল পলিতা বাজারে হাট বসে। ধান, পাট, সবজী ও রবিশস্যই এই বাজারের প্রধান বানিজ্যিক উপাদান। বেরইল  পলিতা স্কুল মাঠে বৈশাখী মেলা অনিুষ্ঠিত হয়। বেরইল পলিতা বাজারটি নবগঙ্গা পাড়ে হওয়ায় এখানে প্রায়ই নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। 

মোঃ আলমগীর হোসেন, লোকজ শিল্পী, বিজয়খালী, মাগুরা

কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের বাজার সমূহ  গাংনি, নতুনগ্রাম, কুল্লিয়া, আমুড়িয়া ও বাটিকাবাড়ী। আমুড়িয়া বাজারে রয়েছে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ ও ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। কুল্লিয়া বাজারে রয়েছে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। গাংনি বাজারে রয়েছে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। আমুড়িয়া বাজারে শনিবার ও মঙ্গলবার হাট বসে। কুল্লিয়া বাজারে বসে বৃহস্পতি ও রবিবার। নতুগ্রাম বাজারে হাট বসে সপ্তাহে তিন সোমবার, বুধবার ও শুক্রবার। গাংনি বাজারেও সপ্তাহের সোমবার, শুক্রবার ও মঙ্গলবার হাট বসে। কুচিয়ামোড়া ইউনিয়ন বিলসমৃদ্ধ হওয়ায় এসব বাজারে প্রচুর পরিমানে দেশজ প্রজাতির মাছ বিক্রি হয়। এছাড়াও অন্যান্য বাজারের মতো ধান, পাট, সবজী ও রবি শস্যের সমাহার ঘটে বাজারগুলোতে।  ২০ পৌষ আমুড়িয়া গ্রামে, ১৪ ফাল্গুন গাংনি বাজারে এবং অনির্ধরিত সময়ে কুল্লিয়া গ্রামে লোকজ মেলা অুনষ্ঠিত হয়। এই মেলাগুলোতে ঘোড়দৌড় অনুষ্ঠিত হয়। লাঠিখেলা হয় কুল্লিয়া মেলায়। এছাড়া এসব মেলায় ভাবগানের আয়োজন করা হয়। আমুড়িয়া গ্রামে তেশারত বয়াতী নামে এক শিল্পী ছিলেন যিনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভাবগান গাইতেন। কবিগানের আয়োজন করা হয় কুচিয়ামোড়ায় ও আমুড়িয়ায়। আমুড়িয়া ও কুচিয়ামোড়ায় যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়।  

গোপালগ্রাম ইউনিয়নে রয়েছে দুইটি বাজার।  বাহারবাগ বাজার ও গোয়ালবাথান বাজার। বাহারবাগ বাজারে রয়েছে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি দাখিল মাদ্রাসা এবং একটি মা ও শিশু কেন্দ্র। অপরদিকে গোয়ালবাথান বাজারে রয়েছে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। গোয়ালবাথান বাজারে হাট বসে প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার। বাহারবাগ বাজারে হাট বসে বুধবার ও রবিবার। গোয়ালবাথান  গ্রামের ঋষি সম্প্রদায়ের তৈরীকৃত পন্যসমূহ বিক্রি হয় এসব বাজারে। তাছাড়া এলাকার চাষকৃত সবজি, পান, বিভিন্ন ফলের জন্য বাজারগুলোর বেশ সুনাম রয়েছে। এসব বাজারে প্রায়ই কবিগান, ভাবগান ও লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়। 

মোঃ রুহুল আমীন, কলেজ শিক্ষক, বনগ্রাম, মাগুরা

মন্তব্য: