1. স্মরণীয় বরণীয়

প্রফেসর মােহাম্মদ শরীফুল ইসলাম (১৯৪০ – ২০১৮)

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, উপন্যাসিক, গল্পকার প্রফেসর মােহাম্মদ শরীফুল ইসলাম প্রতিভাদীপ্ত প্রসন্ন পুরুষ।  তাঁর ‘নীল পরীরদেশ’ ও সন্ধ্যা বেলার রূপ কথা’ দিয়ে তাকে চেনা যায়। ‘রাজার ছেলে’ তাঁর এক বিস্ময়কর আবিষ্কার। প্রফেসর মােহাম্মদ শরীফুল ইসলাম ১৯৪০ সালের ২জানুয়ারি, মাগুরা জেলার সদর উপজেলাধীন আলােকদিয়া গ্রামে  জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মােহাম্মদ শফিউদ্দিন মােল্যা ও মাতার নাম মােসাম্মাৎ বেগম বানু। প্রফেসর মােহাম্মদ শরীফুল ইসলাম ১৯৫৫ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৫৭ সালে আই.এ ও ১৯৫৯ সালে বি.এ পাস করেন। ১৯৬২ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাভাষা ও সাহিত্যে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৪ সালে মাগুরা সরকারি হােসেন শহীদ সােহরাওয়ার্দী কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন। সুদীর্ঘ ১৮ বছর উক্ত কলেজে অধ্যাপনা করার পর তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান সরকারি কলেজ বদলী হন। ১৯৮৩ সালে তিনি ফরিদপুর সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজে যােগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি ঝিনাইদহ সরকারি কে.সি কলেজে বদলী হন।

এরপর মেহেরপুর সরকারি কলেজে বদলী হন। পরবর্তীতে আবার তিনি। ঝিনাইদহ সরকারি কে.সি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে বদলী হয়ে আসেন। দীর্ঘদিন। এই কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত থেকে ১৯৯৮ সালে অবসর নিয়ে নিজ গ্রামে এসে বসবাস শুরু করেন।  ১৯৫৯ সাল থেকে ১৯৬২ সালের মধ্যে তাঁর চারটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে: নীলপরীর দেশ’ (১৯৫৮), ‘রূপকথার আসর (১৯৫৭), ‘রাজার ছেলে’ (১৯৫৯), ও ‘পরীর রাজ্য দেখে এলাম’ (১৯৬২)।

স্কুলজীবন থেকেই সাহিত্যের প্রতি লেখকের অনুরাগ জন্মে। কলেজ জীবনে তিনি ‘বাকাচাঁদ’ ও ‘পদ্মারচরে নামে দু’টি উপন্যাস লেখেন। পাণ্ডুলিপি দু’টি মুদ্রণের জন্য তিনি তৎকালীন সময়ে যশােরের পল্লবী প্রেসকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় উক্ত প্রেস থেকে তাঁর প্রথম জীবনের সাহিত্যে ফসল হারিয়ে যায়। ২০১৮ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

মন্তব্য: