1. ইতিহাস

টাউন হল ক্লাবের রঙিন দিনগুলাে

খান জিয়াউল হক

মাগুরা টাউন হল ক্লাব এই অঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন। এই প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করেছিল ১৯১৯ সালে, যখন এই মহকুমায় আর কোনাে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছিল না। মাগুরার নাট্যামােদী কিছু মানুষ এবং উকিল বারের কিছু তরুণ আইনজীবী মাগুরা থিয়েটার হল নামে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমান  মধুমিতা সিনেমা হলের স্থানে একটি টিনের তৈরি মিলনায়তনে তখন নাটক প্রদর্শন করা হতাে। আমি ছােটবেলা থেকেই মাঝেমধ্যে নাটক দেখতে যেতাম থিয়েটার হলে। যতদূর মনে পড়ে ১৯৪० সালের দিকে এই হলে প্রথম যে নাটকটি দেখি তার নাম ছিল ‘চাদ সওদাগর’। এ নাটকে মঞ্চে যেভাবে ভেলা ও নদীর দৃশ্য তৈরি করা হয়েছিল, তা এখনাে আমার চোখে বারবার ভেসে ওঠে। তখন যাদের অভিনয়ে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল তাদের মধ্যে সুশীল চ্যাটার্জি, প্রফুল্প কর্মকার, জগবন্ধু হালদার, ভােলা শিকদার, ধৃতিশ বিশ্বাস, মনােরঞ্জন বাবু, হরিশ দত্তের কথা আমার বেশ মনে আছে।

বনগাঁয় পড়াকালে আমরা শিশু-কিশাের মিলে বন্দি বীর নামে একটি নাটক মঞ্চায়ন করেছিলাম। তখন থেকেই নাটকের প্রতি আমি আগ্রহী হয়ে পড়ি। তাই টাউন হল ক্লাবের নাটকের প্রতি আমার বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর অনেক অভিনেতাই ভারতে চলে যাওয়ায় অভিনেতার সংকট তৈরি হয় থিয়েটার হলে। ১৯৫০ সালের দিকে আবার কিছু নাট্যামােদী ব্যক্তি এই থিয়েটার হলকে সচল করার প্রয়াস চালান। ১৯৫৪ সালে আমি যশাের থেকে মাগুরায় ফিরে এলে উদীয়মান আইনজীবী সােহরাব হােসেনের মাধ্যমে এই থিয়েটার হলের সদস্য পদ গ্রহণ করি। ১৯৫৮ সালের দিকে সােহরাব হােসেন এই প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক নির্বাচিত হন। তখন থেকেই একটি-দুটি নাটকে অভিনয় করতে থাকি। এ সময়ের একটি বিশেষ নাটকের কথা মনে আছে। দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীল দৰ্পণ’ নাটকে দুটি উকিলের চরিত্র ছিল, যার একটিতে আমি এবং অন্যটিতে নাসিরুল ইসলাম আবু মিয়া অভিনয় করেন। এ সময়কার একটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়। তখন নারী চরিত্রে অভিনয় করার জন্য কোনাে মহিলা পাওয়া যেত না বলে আমার বন্ধু সমরেশ রায় চৌধুরী (মদন বাবু) অধিকাংশ নারী চরিত্রে অভিনয় করতেন।

১৯৬০ সালে গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে থিয়েটার হলের নাম টাউন হল রাখা হয়। এ সময় এর সাথে একটি ক্লাব সেকশনও চালু করা হয়। বর্তমানে যে টাউন হল ক্লাব ভবন রয়েছে সেখানেই তার কার্যক্রম শুরু হয়। ভবনটি ছিল প্রথমে মাগুরা ইউনিয়ন বাের্ড অ্যাসােসিয়েশন অফিস। এটি নির্মাণের সময় থিয়েটার হল আর্থিক সহযােগিতা প্রদান করেছিল। যার বিনিময়ে সভাকক্ষে থিয়েটার হলকে মহড়া দেওয়ার সুযােগ দেয়া হতাে। পরবর্তীকালে অ্যাসােসিয়েশন ভেঙে যাওয়ায় অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে টাউন হর ক্লাব এর কর্তৃত্ব পায়।

আমার চাচা আবুল হােসেন খান ১৯৬৫ সালের দিকে সম্পাদকের দায়িত্ব পান। এ সময় মাগুরা থিয়েটার হলটি লিবার্টি ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে সিনেমা প্রদর্শনের জন্য লিজ দেওয়া হয়। এই ক্ষেত্রে কোম্পানির প্রতিনিধি আব্দুর হালিম সাহেবের সাথে টাউন হলের একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী টাউন হল ক্লাব যেদিন নাটক মঞ্চায়ন করবে, সেদিন সিনেমা প্রদর্শন বন্ধ করে সারা দিনের জন্য হল ছেড়ে দিতে হবে। এ ছাড়াও সিনেমা হলের প্রতি শােতে টাউন হলের সদস্যদের জন্য তিনটি করে পাস দিতে হবে। এই সময় সিনেমা প্রদর্শনের সাথে সাথে নিয়মিত নাটক মঞ্চায়নও চলতে থাকে।

১৯৬৯ সালে গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু করা হয়। পূর্বে বিভিন্ন পেশা থেকে প্রতিনিধিরা পরিচালনা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হতাে। নতুন পদ্ধতিতে সরাসরি ক্লাবের সদস্য হয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে পরিচালনা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার নিয়ম চালু হলাে। এই পদ্ধতিতে ১৯৭০ সালে আমি সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে সম্পাদক নির্বাচিত হই। এ বছরই দেশে এক প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। আমরা টাউন হল ক্লাবের পক্ষ থেকে নাটক মঞ্চায়ন করে টিকিটের টাকা দুর্গত মানুষের সাহায্যর জন্য প্রদান করি।

কিছুদিনের মধ্যেই স্বাধীনতাযুদ্ধের আভাস পাওয়া যায়। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর মাগুরায়ও যুদ্ধের প্রস্তুতি চলতে থাকে। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কে বা কারা হলটি পুড়িয়ে দেয়। যে কারণে নাটক মঞ্চায়ন বন্ধ হয়ে যায়। স্বাধীনতার পর লিবার্টি ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে পুনরায় নতুন চুক্তিতে লিজ দেয়া হয়। চুক্তি অনুযায়ী হল নির্মাণের জন্য তারা অগ্রিম টাকা প্রদান করে। নির্মাণকাজ পরিচালনা কমিটি দারুণ উৎসাহে কাজ দেখাশােনা করতে থাকে। বিশেষ করে আমিনুল ইসলাম চান্দু মিয়া, রান্নু শরীফ, আবু জোহা পিকুলের অক্লান্ত পরিশ্রমের কথা আমার এখনাে মনে আছে। হলটি নির্মাণের পর নতুন উদ্যমে নাটকের কাজ শুরু হয়। মঞ্চটিকে চমৎকার স্ক্রিন, ড্রপসিন, সিনসিনারি দিয়ে সাজানাে হয়।

এই সময় নারী চরিত্রে অভিনয় করার জন্য আমরা মেয়েদেরকে উৎসাহিত করতে থাকি। বেশ কয়েকজন সাহসী হয়ে এগিয়েও আসে। এদেরকে নিয়ে আমরা নতুন উদ্যমে নাটকের কাজ শুরু করি। মিনা, রীতা, বুড়ি, অর্চনা, বাসনা নিয়মিত অভিনয় করতে থাকে আমাদের সাথে। এদের নাম মাগুরার নাট্যাঙ্গনের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এছাড়াও যাত্রা অভিনেত্রী অঞ্জনা অতিথি শিল্পী হিসেবে অভিনয় করতে থাকে। ৭০-এর দশকের শেষ দিকে টাউন হল ক্লাবের নাট্যচর্চা একটি ভিন্ন মাত্রা পায়। এ সময় নাটকের মঞ্চায়ন এবং দর্শকের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতাে। স্থানীয় শিল্পীদের মধ্যে জগবন্ধু হালদার, সমরেশ রায় চৌধুরী, মাহফুজুল হক নিরো, আবু জোহা পিকুল, কামরুল হুদা নিহার, দুলাল কুরী, বিবেকানন্দ দাস, সদরুল আলম পানু, নাজমুল হাসান ইকু, দুলাল অধিকারী, আবুল খায়ের আবলু, আলা আকবর, আব্দুর রাজ্জাক, গােলাম মােস্তফা তােতা, কাজীর বেটা, আমিনুল ইসলাম চান্দু, সুধাংশু বকশি, জাহিদুল ইসলাম বাকু, জলিল খান, আব্দুস সামাদ কাঠু মিয়া, কামরুল হাসান ঝন্টু নাট্যাঙ্গনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। আশির দশকে আরও কিছু তরুণ টাউন হল ক্লাবের নাটককে জনপ্রিয় করতে সহযােগিতা করেন। তাদের মধ্যে কবির মুরাদ, সৈয়দ নাজমুল হাসান লােভন, আহসান হাবিব কিশাের, হুমায়ুন কবির রাজা, মােখলেছুর রহমান, মঞ্জুরুল ইসলাম, গােপাল শিকদার, ভায়নার রুহুল এবং বুজরুক শ্রীকুণ্ডির রুহুল এবং পবিত্র শিকদারের নাম উল্লেখযােগ্য। এ সময় টাউন হল ক্লাবের প্রযােজনায় ‘টিপু সুলতান, ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’, ‘পানি পথের যুদ্ধ’, ‘শাজাহান’, ‘মহারাজ নন্দকুমার’, ‘উল্কা’, ‘ফাস’, ‘আজকাল’, ‘দেবদাস’, ‘পথের শেষে’, ‘ঘুণে ধরা সমাজ’, ‘টাকা আনা পাই’, ‘কালিন্দি’, ‘চোের’, ‘সুবচন নির্বাসনে’, ‘পিডক্লিউডি’, ‘হরিণ চিতা চিল’, ‘তটিনীর বিচার’, নাটকগুলাে দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করে। সমরেশ রায় চৌধুরি, সদরুল আলম পানু, আবু জোহা পিকুল এবং কখনাে কখনাে আমার নির্দেশনায় মঞ্চস্থ এসব নাটকে অতিথি শিল্পী হিসেবে স্বনামধন্য চলচ্চিত্রশিল্পী গােলাম মােস্তফা, আনােয়ার হােসেন, আব্দুস সামাদ, অঞ্জলী, মায়া ঘােষ, দিলারাসহ অনেকেই অভিনয় করেছেন। তবে স্বাধীনতার পর প্রয়াত নাট্যশিল্পী হরিশ দত্তের পূত্র সন্তোষ কুমার দত্ত অভিনয়ে খুব আগ্রহ না দেখালেও মঞ্চের পিছনে তার ভূমিকা ছিলো অসাধারণ। একটি নাটক মঞ্চায়নের জন্য নেপথ্যে যা কিছু প্রয়োজন তিনি তার সর্বশক্তি দিয়ে করার চেষ্টা করেছেন। এমনকি অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হলে নিজের পকেট থেকে অর্থ খরচ করে তা মিটিয়েছেন।

১৯৮০ সালে টাউন হল ক্লাবের আয়ােজনে একটি আন্তঃমহকুমা নাট্য প্রতিযােগিতার আয়ােজন করা হয়। এত বিভিন্ন থানা থেকে নাট্যদল অংশ নেয়।

১৯৭০ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত টানা কুড়ি বছর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে এই পদ থেকে আমি স্বেচ্ছায় সরে আসি। তবে এই কুড়ি বছর আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় সময়। রিহার্সেল, টিকিট বিক্রি, গ্রিন রুম, মেকআপ, অভিনয়, নির্দেশনা নিয়ে কি যে এক রঙিন সময় কেটেছে তা শুধু আমিই জানি। বর্ষা মওসুমে মাঝেমধ্যে নাটক শুরুর আগেই মধুমতি হলে পানি জমে যেত। নাট্যকর্মীরা সবাই মিলে বালতিতে করে সেই পানি বাইরে ফেলতে ফেলতে একসময় হল নাটকের উপযােগী হতাে। মনে পড়ে ঐতিহাসিক নাটকগুলাের কথা। পােশাক ধার করার জন্য চলে যেতাম যাত্রাদলগুলাের কাছে। আরও মনে পড়ে নাটকের কয়েক দিন আগে থেকে টিকেট পুশিং সেল দেয়ার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ানাের কথা। তবে টাউন হল ক্লাবের নাটকের টিকিট কিনতে কারও কোনাে আপত্তি থাকত না।

সম্পাদকের দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার পর সদস্যদের ভালােবাসায় আমাকে সিনিয়র সহসভাপতি নির্বাচিত করা হয়। আমার পর একে একে এস এ সিদ্দিকী বেবী, আলী রেজা রাজা, সৈয়দ নুরুল হাসান বকু এবং জায়েদ বিন কবির নিশান সম্পাদক নির্বাচিত হন।

দুই হাজার দুই অথবা তিন সালের দিকে পুরনাে হলটি ভেঙে নতুন করে একটি কমপ্লেক্স নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই মাগুরা আইনজীবী সমিতি জায়গাটি তাদের বলে দাবি করে আদালতে মামলা করে। সেই প্রেক্ষিতে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। নিশান সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর মামলায় লড়াই করার জন্য নতুন উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু আইনজীবী সমিতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মাগুরার কোনাে আইনজীবী রাজি হননি। এ সময় আমরা ঝিনেদা থেকে আইনজীবী এনে মামলা পরিচালনা করতাম। তবে বিষয়টি নিয়ে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থারও সৃষ্টি হয়। এ সময় কিছু স্থানীয় আইনজীবী একটি সমঝােতার প্রয়াস চালান। এ ক্ষেত্রে অ্যাডভােকেট হাসান সিরাজ সুজা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তীতে সমঝােতার ভিত্তিতে হল ও মার্কেট নির্মাণ করা হয়।

নব্বইয়ের দশকে আমাকে পর পর তিনবার সহসভাপতি নির্বাচিত করা হলেও সম্পাদক পদের মতােই আমি নতুনদের হাতে নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে চেয়েছি। ধীরে ধীরে তা হয়েছেও। নতুন নেতৃত্ব এসেছে, নতুন হল তৈরি হয়েছে, মার্কেটের মাধ্যমে আয় আরও বেড়েছে। কিন্তু নাটকের সেই স্বর্ণালী দিনগুলাে আর ফিরে আসেনি। নব্বইয়ের পর থেকেই নাট্য কার্যক্রমে ভাটা পড়তে থাকে। আগে যেখানে বছরে আট-দশটি নাটক মঞ্চায়িত হতাে, পরবর্তীতে তা একটি অথবা দুটিতে নেমে আসে। এমনকি অনেক বছর নাটক ছাড়াও কেটেছে। তবে জায়েদ বিন কবির নিশান ক্লাবের সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ফিরােজ হােসেন, মঞ্জুরুল ইসলাম, মােস্তাফিজুর রহমান শাহিন, দেলােয়ার হােসেন দিলু, বদরুল আহসান মিন্টুসহ আরও অনেক তরুণ চেষ্টা করছে মাঝেমধ্যেই নাটক মঞ্চায়ন করার।

আমার সহকর্মীদের মধ্যে অনেকেই একসময় মঞ্চ কাপিয়েছেন কিন্তু এখন আর বেঁচে নেই। অনেকেই বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছেন। কেউ কেউ এখনাে জীবনসংগ্রামে টিকে থাকার যুদ্ধ করে যাচ্ছেন। একসময় যারা আলােকোজ্জ্বল মঞ্চে অভিনয় করেছেন দাপটের সাথে, শেষ জীবনে তাদের সেই আলােহীন করুণ পরিণতি আমাকে খুব কষ্ট দেয়। আমরা কেউ শিল্পীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিশ্চয়তা দিতে পারিনি। সেই সব শিল্পীরা একটু আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা পেলে নাট্যাঙ্গনকে হয়তাে আরও কিছু দিতে পারত। যেহেতু টাউন হল ক্লাব এখন আর্থিকভাবে বেশ স্বচ্ছল, তাই তারা যদি এসব শিল্পীদের পাশে একটু দাঁড়ায়, তাহলে মাগুরা টাউন হলের নাট্যচর্চা ও নাট্যাঙ্গন যেমন সমৃদ্ধ হবে, তেমনি নতুন নাট্যকর্মীরাও উৎসাহিত হবে।

সংশোধিত

মন্তব্য: