মঞ্জুশ্রী বিশ্বাস, পিতা মৃত সত্য কুমার বিশ্বাস, মাতা মৃত রেখা রানী বিশ্বাস, জন্ম ১৯৫৫ সালের পহেলা জানুয়ারি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলাধীন প্রত্যন্ত গ্রাম লক্ষীপুরে। পিতা মহকুমা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকার সুবাদে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন মহকুমা শহরে ঘুরতে হয়েছে। ১৯৭০ সালে মাগুরা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে এস,এস,সি, ১৯৭২ সালে ঝিনাইদহ কে,সি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি, ১৯৭৫ সালে হােসেন শহীদ সােহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে স্নাতক এবং ১৯৭৫-৭৬ শিক্ষাবর্ষে মাগুরা প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণালয় হতে প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ছােটবেলা থেকেই গান ভাল লাগত। মায়ের মুখে গান শুনে শুনে সেগুলাে মুখস্থ করে গাইতেন। মূলত সংগীতের হাতেখড়ি ওস্তাদ কমলেশ চন্দ্র চক্রবর্তীর নিকট। পারিবারিক পরিস্থিতি অনুকূল না থাকায় সঙ্গীত জগতে বেশিদূর অগ্রসর হওয়া সম্ভব হয়নি। মাগুরা বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী প্রাক্তন এম.পি অধ্যক্ষ শামছুন্নাহার মুকুল বিনা পয়সায় রবীন্দ্র সঙ্গীত ও নজরুল গীতির তালিম দেন। মাগুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় সঙ্গীত ও নৃত্য শিক্ষক বাবু ধীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর (ভােলা বাবু) কাছে গান ও নাচের তালিম নেন। ভােলা বাবুর নির্দেশনায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতা আবৃত্তির সঙ্গে নাচ পরিবেশন করেন। মাগুরার তৎকালীন দুটি সাংস্কৃতিক সংগঠন ললিতকলা ও আখেলি ললিতকলা। এর মধ্যে আখেলি ললিতকলার সঙ্গে যুক্ত হন। স্বামী মাগুরার বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক সংগঠক, তৎকালীন মাগুরা উদীচীর সম্পাদক বাবু বিবেকানন্দ মজুমদারের প্রেরণায় ও উৎসাহে উদীচীর নৃত্য ও সংগীত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং নৃত্য প্রশিক্ষক হিসেবে উদীচীর নৃত্যশিল্পী সদস্যদের নৃত্য প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন নৃত্যনাট্য পরিচালনা করেন। বিভিন্ন জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে মাগুরার বিভিন্ন গীতিকারের রচিত গানে সুরারােপ করে উদীচীর মুক্ত মঞ্চে পরিবেশন করেন। পেশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক ছিলেন। মঞ্জুশ্রী বিশ্বাস বর্তমানে অবসর জীবন-যাপন করছেন।

মন্তব্য: