চিত্রাভিনেত্রী ও রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রখ্যাত শিল্পী বনানী চৌধুরী ১৯১৮ সালে মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলাধীন সােনাতুন্দী নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবছার উদ্দিন। তাঁর  কন্যা আনােয়ার নাহার (লিলি) ধীরে ধীরে বড় হলাে। লেখাপড়া শিখলাে ক্রমে ক্রমে ‘লেডি ব্রাবােন কলেজ’ থেকে আই.এ ও বি.এ পাস করলাে। এরপর আপন চাচাতাে ভাই আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে বিবাহ হয়। পরবর্তী আব্দুর রাজ্জাক সাহেব কলকাতা কলেজের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আনােয়ার নাহার (লিলি) কবে কিভাবে চোখে পড়ে গেছেন তৎকালীন প্রখ্যাত অভিনেতা ও প্রােডিউসার প্রমথেশ বড়ুয়ার। স্বামী ও পিতা-মাতার সম্মতিতেই এলেন চিত্রজগতে পােষাকী নাম বনানী চৌধুরী। নির্বাক ছবির যুগ থেকে সবাক ছবির জগতে একটার পর একটা ছবির পার্শ্বনায়িকা, নায়িকারূপে অভিনয়ে হৃদয় মন জয় করে চলেছেন দর্শকের। আরাে পরে শিল্পী অন্যতম পরিচয়- রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রখ্যাত গায়িকা বনানী চৌধুরী রূপালীপর্দার বিশ্রুত অভিনেত্রী। রবন্দ্রসঙ্গীতের বিশিষ্ট গায়িকা, আকাশ বাণী হতে শুনতে পাই তার সুরেলা কণ্ঠে।  এই বনানী চৌধুরী ইসলামিক পরিবারের কন্যাদের মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম চিত্রাভিনেত্রী হিসেবে আজকের বাংলাদেশের মাগুরা জেলার তথা বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম। বনানী চৌধুরীর প্রথম ছবির নাম ‘সাপ মােচন’। এই ছায়াছবি দিয়ে তিনি চিত্রজগতে প্রবেশ করেন। এছাড়া বনানী চৌধুরী মাগুরা জেলার মেয়েদের মধ্যে প্রথম বি.এ পাস করেন। 

মন্তব্য: