1. স্মরণীয় বরণীয়

চন্ডি প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় (১৯৪৮ – ২০০৫)

কবি ও সঙ্গীতগুরু চন্ডি প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় ১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যশাের জেলার বাঘারপাড়া উপজেলাধীন বন্দবিলা গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। কবির পৈত্রিক নিবাস মাগুরা জেলার সদর উপজেলাধীন নিজনান্দুয়ালী গ্রামে। তাঁর পিতার নাম শ্রী জ্ঞানেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ও মাতার নাম শ্রীমতি অমিয়াদেবী চট্টোপাধ্যায়। তিনি পিতা ও মাতার প্রথম সন্তান। কবির শৈশবকালের অধিকাংশ সময়ই তাঁর মাতুলালয়ে অতিবাহিত হয়েছে। বাল্যকালে তিনি মাগুরা মডেল হাইস্কুলে পড়াশুনা করেছেন। উক্ত হাইস্কুল থেকেই তিনি ১৯৬৩ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। পরে তিনি মাগুরা সরকারি হােসেন শহীদ সােহরাওয়ার্দী কলেজে ভর্তি হন এবং উক্ত কলেজ থেকে ১৯৬৫ সালে আই.এ পাস করেন। পরে তিনি ১৯৬৯-৭০ শিক্ষাবর্ষে দ্বিতীয় বিভাগে বি.এ পাস করেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭২ সালে বাংলায় দ্বিতীয় বিভাগে এম.এ পাস করেন। এরপর রেডিও বাংলাদেশ ঢাকাতে যােগদানের মাধ্যমে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। কিন্তু সে চাকরি ইস্তফা দিয়ে অধ্যাপনার কাজে নিয়ােজিত হন। মাগুরা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই তিনি ঐ কলেজের অধ্যাপনায় যুক্ত হন এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি উক্ত কলেজের উপাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। কবি ১৯৮০ সালে মাগুরা জেলা শহরের অন্যতম সংগীতশিল্পী সবিতা চট্টোপাধ্যায়কে বিবাহ করেন। কবি একাধারে একজন সাহিত্যিক, গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী ছিলেন। তিনি রাজশাহী বেতারে রবীন্দ্রসংগীত এবং আধুনিক গানের প্রােগ্রাম করতেন ছাত্রজীবন থেকেই। কবি ছাত্রজীবন থেকেই সাহিত্য সেবা করতেন।

কবি চণ্ডি প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ সালে মাগুরা সদর হাসপাতালে ইহলােক ত্যাগ করেন।  কবির বহু কবিতা, প্রবন্ধ, দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তিনি মাগুরার ‘নবগঙ্গা’ সাহিত্যগােষ্ঠার সভাপতি এবং মাগুরার ললিত শিল্পকলা একাডেমির পরিচালকসহ বিভিন্ন সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অঙ্গনের একজন প্রাণপুরুষ ছিলেন।

মন্তব্য: