ক্রিয়াপদের বিকৃত ব্যবহার ছাড়া নদীয়ার পার্শবর্তী জনপদ হিসাবে আঞ্চলিক কিছু শব্দ ব্যতিরেকে মাগুরা সদর উপজেলার প্রচলিত শব্দ ব্যবহারে খুব বেশি বিবর্তন দৃশ্যমান নয়। কয়েক দশক আগেও মাগুরা অঞ্চলে আঞ্চলিক শব্দের প্রাচুর্য থাকলেও সময়ের বিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের ভাষা শৈলিতেও এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। শিক্ষার হার বৃদ্ধি হওয়ায় মানুষের মাঝে ভাষার চলিত রীতির ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে আঞ্চলিক অনেক শব্দ। নিম্নবর্নিত শব্দগুলোর ব্যবহার এখনো থাকলেও অনেক শব্দের ব্যবহার কমে গেছে।
আঞ্চলিক শব্দ মূল শব্দ
পিঠে পিঠা
নাওয়া গোসল করা
চান করা গোসল করা
গা ধুয়া গোছল করা
গাই দুয়া দুধ দোহানো
আদ্দেক অর্ধেক
ত্যানা নেকড়া
এটটা একটা
ক্যা কেন
কি লো কি খবর
পিড়ে পিড়ি
ধুয়া ধৌত করা
কি রে কি খবর
বিলেই বিড়াল
কুত্তো কুকুর
কুহুর কুকুর
শিয়েল শেয়াল
হইনেই হয়নি
পাহা পাখা
পাহি পাখি
কুলো কুলো
চুলো চুলা
ঢেহিঘর রান্নাঘর
ছুঁয়া স্পর্শ করা
কুড়োল কুড়াল
কিপটে কৃপন
কিরপিন কৃপন
গয়না গহনা
কহন কখোন
মদ্দি মাঝে
তলে নীচে
বিষ্টি বৃষ্টি
এইলা এইলা একলা
থায়ে থাকে
কইছে বলেছে
তয় তবে
মেলা অনেক
পুরোডা সবটুকু
রইছে রয়েছে
মেয়েডা/মায়েডা মেয়েটা
ছেলেডা/ছাওয়ালডা ছেলেটা
থায়িস থাকিস
লাথোয়ে লাথ মেরে
কয়ডা কয়টা
পিশাব প্রশ্রাব
চেতায়ে বাড়ায়ে
ঢাহিনি ঢাকিনি
থুয়ে রেখে
এই অইলো এই হলো
কিডা কে
কবি বলবি
নামায়ে নামিয়ে
থুলো রাখলো
কনে কোথায়
অকাম অকাজ
ঘটপে ঘটবে
বরবাদ নষ্ট
ঠিলে কলস
পন্তু পর্যন্ত
এমিনদে এই পথ দিয়ে
ওমিনদে ঐ পথ দিয়ে
হেরিকেন হারিকেন
ল্যাম্পো তেলের বাতি
চেরাগ তেলের বাতি
টাহা টাকা
ঢাহা ঢাকা
নেমু লেবু
মাগরো মাগুরা
নুন লবণ
হলদি হলুদ
নারকেল নারিকেল
বাগুন বেগুন
কাহৈ চিরুনি
নিয়াই নিয়ে আয়
পুস্কনি পুকুর
গাঙ নদী
মাটেল গর্ত
খানা গর্ত
সিয়েন সর্দি
কাশ কফ
কবো বলবো
ছাতি ছাতা
নাত্রির বেলা রাতে
হাতনে বারান্দা
হাসেল রান্না ঘর
যাইচ্ছে যাচ্ছে
খাইচ্ছে খাচ্ছে
আসতিছে আসিতেছে
খাবেনে খাবে
যাবেনে যাবে
খাতি খেতে
মানষির মানুষের
মাগুরার আঞ্চলিক সম্বোধন
ভাই, দাদা, চাচা, চাচি, দিদি, দাদু, বু, ভাবি, বৌদি, খালা, মাসী, বুনডি, ভাইডি, মনি, সোনা, মুরুব্বি, বিটা, বিটি, আগো, কিগো, বাবু, সাহেব, নাপিত (তাচ্ছিল্য অর্থে), শালা (গালি/মসকারা)
তথ্যপ্রদানকারীঃ
ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস
বয়স ৪০ বছর
কলেজপাড়া, মাগুরা
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ এম এ (ইংরেজি)
পেশাঃ শিক্ষকতা