1. সংগঠন

মাগুরার নাট্য দল/সংগঠন

সারথী কল্যাণ ফাউন্ডেশন

সারথীর অবস্থান মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলাধীন খামার পাড়া বাজারে। প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি : মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম। সহসভাপতি অধ্যাপক খান শফিউল্লাহ। সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজা। প্রতিষ্ঠানটির প্রাথমিক নাম ছিল সারথী নাট্য গোষ্ঠী। ২০১০ সালে নামকরণ হয় সারথী সাংস্কৃতি গোষ্ঠী। ২০১১ সালে বর্তমান নামকরণ হয়। এখানে গান, নাচ, কবিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সংগঠনটি অর্ধশত নাটকে শতাধিক মঞ্চনাটক ও পথনাটকের প্রদর্শনী করেছে। এছাড়া এখানে মুখাভিনয় প্রশিক্ষণ দেন অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান। মুখাভিনয়ের অন্যতম প্রধান অভিনেতা রাজকুমার। এই সংগঠনটি নিয়মিত যশোর মধুমেলায় অংশগ্রহন করে। এখানকার উল্লেখযোগ্য নাট্যশিল্পী হলেন কৃষ্ণ চন্দ্র কুন্ডু, অনন্ত কুমার বিশ্বাস, সন্তোষ কুমার বিশ্বাস, নৃপেন্দ্র নাথ শিকদার, অশান্ত কুমার বিশ্বাস প্রমুখ।  

ডায়মন্ড থিয়েটার

প্রতিষ্ঠাসাল ১৯৯১। ঠিকানা ভায়না মোড়, মাগুরা। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন নাজমুল হাসান মিটুল এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন রানা আমির ওসমান রানা। সংগঠনটি ৪টি মঞ্চনাটক এবং ৮টি পথনাটক করেছে। প্রদর্শনী করেছে ২০টি। ২০০৫ সালের পর কার্যক্রম স্থগিত হয়ে আছে। সর্বশেষ সভাপতি আবু বাশার আখন্দ এবং সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান। এই সংগঠনের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য নাট্যশিল্পী ছিলেন মফিজুর রহমান, বদরুল ইসলাম বিদ্যুৎ, আলী হায়াতুল ইসলাম বাবুল, সেন্টু মল্লিক, মিজানুর রহমান কালু, সউদ আল ফয়সাল, মিজানুর রহমান টিটো ঝুমুর, মলি, রুমানা প্রমুখ।

মাগুরা থিয়েটার

স্থায়িত্বকাল: ১৯৯১- ২০০০ খ্রিঃ। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি: মিজানুর রহমান টিটো। প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক: এম এইচ রহমান শিবলু। ১৪/১৫ টি নাটক মঞ্চস্থ করেছে মাগুরা থিয়েটার এবং মঞ্চায়ন করেছে ৮৬ টি। উল্লেখযোগ্য নাটক নীল নকশা, গোল্লা ছুট, ফেন্সু, ওরা, বাচ্চা শালিকের ঘাড়ে রোঁ, প্রেমিক প্রভৃতি। 

অনন্যা থিয়েটার 

প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৯৩। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি: মনিরুজ্জামান উজ্জল । প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক: হাসানুজ্জামান বুলবুল। আধুনিক থিয়েটারের রূপধারা প্রবর্তনকারী সংগঠন। মাগুরা থেকে বাংলাদেশ গ্রæপ থিয়েটারের প্রথম অন্তর্ভুক্ত দল। মূলত মাগুরা থিয়েটারের একটি অংশ পৃথক হয়ে অনন্যা থিয়েটার গঠন করে। যার চালিকা শক্তি ছিল মনিরুজ্জামান উজ্জল, লতিফ জামিল, হাসানুজ্জামান বুলবুল, জাহিদুল আলম শিমুল, এস আলম তুহিন প্রভৃতি নাট্যশিল্পী। অনন্যা থিয়েটার মনিরুজ্জামান উজ্জল রচিত ‘তমিজ উদ্দিনের স্বপ্নরুমাল’, ‘একাত্তরের ওরা’ নাটক মঞ্চায়িত করেছে বহুবার। পথনাটক করেছে অর্ধশতাধিক।

বিবর্তন নাট্যগোষ্ঠী 

সময়কাল: ১৯৯৩ – ২০০১ খ্রিঃ। ঠিকানা: পৌর মার্কেট, রেজিঃ অফিসের সামনে, মাগুরা। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি : মোস্তাক আহমেদ রুমী। সাধারন সম্পাদক: আবুল কালাম আজাদ। বিবর্তন নাট্য গোষ্ঠী ১৫টি নাটক মঞ্চস্থ করেছে। প্রদর্শনী করেছে ৩০ টির অধিক। উল্লেখযোগ্য নাটক নকশা, কঙ্কালের সারিতে, যেমন কুকুর তেমন মুগুর, ভানুর এখন দুঃসময়, স্বাধীনতা ও পরিবেশ যার রচয়িতা মোস্তাক আহমেদ রুমী। সংগঠনটির আরো উল্লেখযোগ্য নাট্যশিল্পী ছিলেন শাহীদুল বাসার জিহাদ, তামীম হোসেন, রিপন, পলাশ, জাকির, জুই প্রমুখ। 

থিয়েটার ইউনিট

প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৯৬ খ্রিঃ। প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আল এমরান। বাংলাদেশ গ্রæপ থিয়েটারের অন্তর্ভূক্ত একটি নাট্য দল থিয়েটার ইউনিট। মনিরুজ্জামান উজ্জল রচিত ‘ছারপোকা’ নাটকটি অনেকবার মঞ্চস্থ করেছে থিয়েটার ইউনিট। পথনাটক ও মঞ্চনাটক মিলে প্রদর্শনী করেছে ৩২২ টি। উল্লেখযোগ্য নাটক খন্দকার ইদ্রিস আলী রচয়িত ‘ছোবল’ ও ‘ডেঙ্গু’ এবং নাজমা আক্তার রচিত ‘রোধ’। উনিশ’শ একাত্তর গল্পের নাট্যরূপ দিয়েছিলেন নাজমা আক্তার। এ সংগঠনের উল্লেখযোগ্য নাট্যশিল্পীগণ খন্দকার ইদ্রিস আলী, সাইদুর রহমান লিন্টু, হারুন অর রশিদ, শরিফুল ইসলাম মুন, রিয়াজ পারভেজ রানা, নাজমা আক্তার, জান্নাতুল ফেরদৌস নাঈমা, কথা রহমান কামিনি, রিফাত কাজী, মঈনুল ইসলাম জেসান, আশিকুর রহমান মুসা, আরাফাত হোসেন, হাসান মাহমুদ, শাহজাহান প্রমুখ। 

চিলড্রেন থিয়েটার 

সময়কাল (১৯৯৭ – ২০০৮)। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি: খালেদ মাহমুদ রকি। প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুময়ুন ইবনে বাবর। মঞ্চনাটকের সংখ্যা ৭টি। মঞ্চায়ন/প্রদর্শনী শতাধিক। চিলড্রেন থিয়েটারের উল্লেখযোগ্য অভিনয় শিল্পী ছিলেন সাব্বির আহমেদ, কল্লোল, ইস্রাফিল আলম জীবন, শাহিনুল ইসলাম, শম্পা দাস, রকিবুল ইসলাম প্রমুখ। নিজস্ব নাটক ‘কী হবে’, ‘রবি চেয়েছিল স্বাধীনতা’ এবং ‘মুর্খ’  

মন্তব্য: